২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

গুছিয়ে কথা বলে যেকোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায় : জোবায়ের আহমেদ

জোবায়ের আহমেদ - ফাইল ছবি।

‘পাঠ কিংবা আবৃত্তির মাধ্যমে দিয়ে একটা সাধারণ লেখাও অসাধারণ করে তোলা যায়। মানুষের মনের জমানো কথা! জমাট বাধা ব্যথা, প্রাপ্তি কিংবা শূন্যতা—সবকিছুই একই সুতোয় গেঁথে ফেলা যায় গভীরভাবে পাঠের মধ্য দিয়ে। মানুষের মনে জমানো কথাগুলো পাঠ করে সাথে ভিডিও যুক্ত করে তুলে ধরার চেষ্টা করি গণমানুষের কাছে।’ নিজের সম্পর্কে জানতে চাইলে এভাবেই বলেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর জোবায়ের আহমেদ

তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে পরিচিত জোবায়ের আহমেদ। ছোট থেকেই কথা বলতে খুব ভালো লাগতো তার। সেই ভাবনা থেকেই ভিডিও বানানো শুরু করে তিনি। অসংখ্য কবিতা আবৃত্তি, বিচ্ছিন্ন কিছু অনূভুতি পাঠ করেছেন তিনি। হৃদয়ছোঁয়া ভিডিও কন্টেন্টের মাধ্যমে বিগত তিন বছরের প্রচেষ্টায় ৩০ লাখেরও অধিক মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন জোবায়ের।

সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার নাম মো: জোবায়ের আহমেদ। তার জন্ম ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর থানার নারুই গ্রামে। তার কন্টেন্ট ক্রিয়েশনের গল্প জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যখন কারো জীবনের গল্প বলি বা কারো কবিতা আবৃত্তি করি তখন নিজেকে তাদের স্থানে দাঁড় করিয়ে তাদের ব্যথা বেদনা নিজের মনে করে অনুভব করি, আর কণ্ঠে সাথে ভিডিওতেও পরিপূর্ণভাবে তা ফুটিয়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করি! তাদের আবেগ-অনুভূতি ব্যথা-বেদনা যেন আমারই হতে যায়! যার ফলে মানুষ খুব সহজেই তাদেরকে আমার ভিডিওর সাথে কানেক্ট করতে পারে। আমি বিশ্বাস করি গুছিয়ে কথা বলে যেকোনো অস্থিতিশীল পরিবেশকে ঠান্ডা পানির মতো শান্ত করা যায়। আমাকে বোধহয় মানুষ তাদের মনের ভাবকে গুছিয়ে বলতে পারার কারণে বেশি পছন্দ করে। আমার ভিডিওগুলোতে হাজার হাজার মানুষের মন্তব্য দেখে বুঝতে পারি।’

শুরুতে পথচলা এতটা সহজ ছিলো না তার। কথা বলতে পছন্দ করলেও ভিডিওতে এসে সাবলীলভাবে কথা বলাটা মুশকিল বটেই৷ প্রথম অনেক কষ্ট হয়েছে কারণ, এছাড়াও নানারকম প্রতিবন্ধকতা ছিলো। এই সময়টা দাঁতে-দাঁত কামড়ে ভিডিও বানিয়েছি, আপলোড করেছি। নানারকম ভুল থেকে শিখেছি। ইন্টারনেটের বিচিত্র মারপ্যাঁচ ও ভেতরকার জটিলতার সাথে পরিচয় হয়েছে। এভাবেই তার এগিয়ে চলা।

স্বপ্নবাজ তরুণ জোবায়ের। ভিডিও নিয়ে বহুদূর এগিয়ে যাবার স্বপ্ন তার৷ ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মিডিয়ায় নিজেকে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর দাবি করা মানুষের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। অনেকে এর মাধ্যমে অর্থও উপার্জন করছেন। তবে মানসম্মত কন্টেন বানানোটা খুব জরুরী বলে মনে করি। তাই ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করলেও এখনো নিজেকে “কন্টেন্ট ক্রিয়েটর” বলে পরিচয় দিতে চাই না। এখনো জানার, শেখার অনেককিছু বাকি আছে। যারা আমাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন, এমনকি যারা আমাকে নিয়ে সমালোচনা করেন, আমি প্রত্যেকের কাছেই ঋণী। আলোচনা সমালোচনা না থাকলে এলাচ বিহীন বিরিয়ানির মতো লাগতো নিজেকে। আমার চিন্তা চেতনা কেবলই পাঠ, আবৃত্তি নিয়ে। সবার দোয়া ও ভালোবাসায় এগিয়ে যেতে চাই বহুদূর।’


আরো সংবাদ



premium cement